রসুনের গুনাগুন ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
৩) পেটের বায়ুতে - এককাপ ঠাণ্ডা জলে 4-5 ফোঁটা রসুনের রস মিশিয়ে রোজ সকালে খেলে 7 দিনে পেটের বায়ু জমা বন্ধ হবে।
৪) অকাল বার্ধক্য রোধে - রোজ 4 কোয়া করে রসুন ভেজে বা বেঁটে তরকারি বা আটা ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে খেলে অকাল বার্ধক্য দূর হবে।
৫) দেহের ক্ষয়ে - এক কাপ দুধের সঙ্গে দু তিন কোয়া রসুন সেদ্ধ করে মিশিয়ে খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় ও ক্ষয় রোধ হয়।
৬) গরু-মোষের ঘা বা পোকাতে - 8-10 কোয়া রসুন বেটে জায়গায় লাগালে ঘা শুকিয়ে যাবে। অন্তত সাতদিন লাগাতে হবে।
৭) পুরানো ঘা বা ক্ষততে - 4/5 কোয়া রসুন বেটে ক্ষততে লাগালে সাতদিনে ঘা সেরে যাবে।
৮) পায়ের তলার কড়া বা গ্তফোতে - এক কোয়া রসুন দু'টুকরো করে এক টুকরো কড়ার উপরে লাগিয়ে লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে আটকে দিন। তিন দিন এরূপ করলে রোগ নিরাময় হবে।
৯) শুক্রতারল্যে - এক কাপ গরম দুধের সঙ্গে দু তিন কোয়া রসুন সেদ্ধ করে মিশিয়ে খেলে শুক্রতারল্য হবে না। হাতের বল বাড়বে, ক্ষয় রোধ হবে।
১০) মদ খাওয়ার জন্য পেট ব্যাথা হলে - মদ খাওয়ার জন্য দু'কোয়া করে রসুন রোজ খেলে মদ খাওয়ার অভ্যাস চলে যাবে।
১১) মাথা ধরা - মাথা ঘোরায় দু এক ফোটা রসুনের রস নস্যির মতো নাকে টানলে মাথা ধরা সারবে।
১২) এমফাইসিসা - এটি এক ধরনের হাঁপানি রোগ। এতে রোগীর নিঃশ্বাস ছাড়তে কষ্ট হয়। এরূপ হলে 5-6 ফোঁটা রসুনের রস দুধ জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে তার সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার হয়।
১৩) টি বি প্রতিরোধে - রোজ যদি এক কোয়া করে রসুন বাটা গরম দুধ দিয়ে খাওয়া যায় তবে টি. বি. নিরাময় হবে।
১৪) পুরাতন জ্বরে - জ্বর হচ্ছে তা কমছে বাড়ছে কিন্তু একেবারে বন্ধ হচ্ছে না এরূপ হলে 5-6 ফোঁটা রসুনের রস ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে তিন চারদিন খান জ্বর ছেড়ে যাবে।
১৫) রোগা শিশুদের জন্য - অনেক শিশু আছে তারা ভালো-মন্দ খাচ্ছে কিন্তু তাদের স্বাস্থ্যের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। এরূপ ক্ষেত্রে আধ কোয়া রসুন ঘোলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শিশুর পুষ্টি হবে।
বন্ধুরা আপনাদের কেমন লাগলো এই পোস্টটি। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক করে শেয়ার করুন আপনার পরিবারের সাথে। অথবা যদি কোনো ত্রটি থেকে থাকে, তাহলে আপনি বলতে পারেন কমেন্ট এর মাধ্যমে ধন্যবাদ। এইরকম আরও সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে অবশ্যই এই পেজটাকে ফলো করুন।
![]() |
রসুনের গুনাগুন ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন |
মানুষের শরীরে রসুন বিভিন্ন উপকারে আসে। রসুন দু প্রকার ১) এককোষী রসুন যার বোটানিক্যাল নাম Allium Sativam, ২) বহুকোষী রসুন। তবে এককোষী রসুন বেশি উপকারী।
রসুনের যেসব রোগ সারে -
রসুনে ভিটামিন এ, বি, সি, ডি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, আয়োডিন, এবং উগ্র শক্তির জীবাণুনাশক দুটি শক্তি বর্তমান। ক্যালিফোর্নিয়া শহরে একটি আলোচনার আসর বসেছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের রসুন বিশেষজ্ঞেরা। এক একটি দেশ এক একটি বিশেষ প্রয়োগের উপর তাদের যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে ছিলেন তা থেকে জানা যায় বাহ্য প্রয়োগে বিছের কামড়ে, বোলতার কামড়ে, এবং ফোড়ায় রসুন ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়। আর অভ্যন্তরীণ প্রয়োগে কোষ্ঠবদ্ধতায়, হাতে পায়ে খিল ধরায়, ধমনী সংকোচন, সর্দি-কাশিতে, হাঁপানিতে, গলা বুক জ্বালায়, পিত্তথলির ডিপথোরিয়ায়, নানা প্রকার চর্মরোগে, ক্ষয় রোগে, গলগন্ড, কৃমিতে, বমিতে, বুক ধড়ফড়ানি তে রসুনের ব্যবহার ভালো ফল পাওয়া যায়।
কিভাবে রসুন খাবেন -
১) তেলে বা ঘিতে ভেজে শাক পাতার গাড়ির সঙ্গে খেতে পারেন। ২) আটা বা ময়দার ভিতরে রসুন বেটে দিয়ে তার রুটি বা লুচি তৈরি করে তা খেতে পারেন। ৩) ছাতুর সঙ্গে রসুন বেটে খেতে পারেন। ৪) গরম দুধের মিশিয়ে রসুন বাটা মিশিয়ে খেতে পারেন। ৫) কাঁচা রসুন রসুন সেদ্ধ করে ভাতের প্রথম গ্ৰাসের সঙ্গে খেতে পারেন।
কিভাবে রসুনের দুর্গন্ধ দূর করবেন ? -
রাতে রসুনের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে দৈয়ের এর ভিতর রেখে দিন। পরদিন খাবার আগে তা জলে ধুয়ে খাবেন তাতে গন্ধ থাকবে না আবার খাদ্যগুণও বজায় থাকবে।
বিভিন্ন রোগে রসুনের ব্যবহার :
১) যৌবন শক্তি দীর্ঘস্থায়ীতে - প্রতিদিন নারী ও পুরুষের প্রত্যেকে যদি দু চামচ আমলকির রসের সঙ্গে দু'কোয়া রসুন বেটে খান তবে যৌবন শক্তি বৃদ্ধি পায়।
২) বাতের বেদনায় - রোজ একটা করে রসুন গরম ভাতের সঙ্গে চিবিয়ে খেলে বা 100 গ্রাম তেলে ২০ কোয়া রসুন ভেজে সেই তেলে দিয়ে দুবার করে মালিশ করলে ব্যথা কমে।
৩) পেটের বায়ুতে - এককাপ ঠাণ্ডা জলে 4-5 ফোঁটা রসুনের রস মিশিয়ে রোজ সকালে খেলে 7 দিনে পেটের বায়ু জমা বন্ধ হবে।
৪) অকাল বার্ধক্য রোধে - রোজ 4 কোয়া করে রসুন ভেজে বা বেঁটে তরকারি বা আটা ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে খেলে অকাল বার্ধক্য দূর হবে।
৫) দেহের ক্ষয়ে - এক কাপ দুধের সঙ্গে দু তিন কোয়া রসুন সেদ্ধ করে মিশিয়ে খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় ও ক্ষয় রোধ হয়।
৬) গরু-মোষের ঘা বা পোকাতে - 8-10 কোয়া রসুন বেটে জায়গায় লাগালে ঘা শুকিয়ে যাবে। অন্তত সাতদিন লাগাতে হবে।
৭) পুরানো ঘা বা ক্ষততে - 4/5 কোয়া রসুন বেটে ক্ষততে লাগালে সাতদিনে ঘা সেরে যাবে।
৮) পায়ের তলার কড়া বা গ্তফোতে - এক কোয়া রসুন দু'টুকরো করে এক টুকরো কড়ার উপরে লাগিয়ে লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে আটকে দিন। তিন দিন এরূপ করলে রোগ নিরাময় হবে।
৯) শুক্রতারল্যে - এক কাপ গরম দুধের সঙ্গে দু তিন কোয়া রসুন সেদ্ধ করে মিশিয়ে খেলে শুক্রতারল্য হবে না। হাতের বল বাড়বে, ক্ষয় রোধ হবে।
১০) মদ খাওয়ার জন্য পেট ব্যাথা হলে - মদ খাওয়ার জন্য দু'কোয়া করে রসুন রোজ খেলে মদ খাওয়ার অভ্যাস চলে যাবে।
১১) মাথা ধরা - মাথা ঘোরায় দু এক ফোটা রসুনের রস নস্যির মতো নাকে টানলে মাথা ধরা সারবে।
১২) এমফাইসিসা - এটি এক ধরনের হাঁপানি রোগ। এতে রোগীর নিঃশ্বাস ছাড়তে কষ্ট হয়। এরূপ হলে 5-6 ফোঁটা রসুনের রস দুধ জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে তার সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার হয়।
১৩) টি বি প্রতিরোধে - রোজ যদি এক কোয়া করে রসুন বাটা গরম দুধ দিয়ে খাওয়া যায় তবে টি. বি. নিরাময় হবে।
১৪) পুরাতন জ্বরে - জ্বর হচ্ছে তা কমছে বাড়ছে কিন্তু একেবারে বন্ধ হচ্ছে না এরূপ হলে 5-6 ফোঁটা রসুনের রস ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে তিন চারদিন খান জ্বর ছেড়ে যাবে।
১৫) রোগা শিশুদের জন্য - অনেক শিশু আছে তারা ভালো-মন্দ খাচ্ছে কিন্তু তাদের স্বাস্থ্যের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। এরূপ ক্ষেত্রে আধ কোয়া রসুন ঘোলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শিশুর পুষ্টি হবে।
বন্ধুরা আপনাদের কেমন লাগলো এই পোস্টটি। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক করে শেয়ার করুন আপনার পরিবারের সাথে। অথবা যদি কোনো ত্রটি থেকে থাকে, তাহলে আপনি বলতে পারেন কমেন্ট এর মাধ্যমে ধন্যবাদ। এইরকম আরও সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে অবশ্যই এই পেজটাকে ফলো করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন